somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

রিপোষ্ট : হুমায়ূন আহমেদ এর স্বপ্নের নুহাশ পল্লী নিয়ে আমার প্রথম ছবিব্লগঃ

১৩ ই নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:১৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

নুহাশপল্লীতে দুইবার যাওয়ার সৌভাগ্য হয়েছে আমার। প্রথমবার ২০০৯ সালের অক্টোবর মাসে আমরা ৪ বন্ধু এবং দ্বিতীয়বার ২০১১ সালের জুন মাসে আরো অনেকে গিয়েছিলাম।
** আমরা কোন প্রকার তথ্য ছাড়াই গিয়েছিলাম। প্রথমবার প্রবেশে কোন সমস্যা হয়নি। বাহিরের লোক বলতে আমরা ছাড়া আর কেউ ছিল না, তাই সারা দিনই ছিলাম এবং সব জায়গায় প্রায় অবাধে ঘুরে দেখার সুযোগ হয়েছিল।
*** দ্বিতীয়বার আমাদেরকে কোনমতে ঢুকতে দিবে না। শেষে অনেক অনুরোধের পর কিছু শর্তসাপেক্ষে ১ ঘন্টা ঘুরে দেখার অনুমতি পাই।

বর্তমান অবস্থা*** কিছুদিন আগে স্যার মারা যাওয়ার পর আমার এক বড় ভাই নুহাশপল্লীতে গিয়েছিল। তার থেকে জানতে পারি এখন প্রবেশের জন্য টিকিট লাগে এবং টিকিটের মুল্য ২০০ টাকা মাত্র।

### সব ছবি মোবাইলে উঠানো। এই দুইবার ভ্রমনের ছবি নিয়ে আমার প্রথম ছবি ব্লগ-------



২০০৯ সালের নুহাশপল্লীর প্রবেশের মূল গেইট।


২০১১ সালের নুহাশপল্লীর প্রবেশের সংস্কারকৃত গেইট।


মূল গেইট দিয়ে প্রবেশ করলেই চোখে পড়বে বিশাল মাঠ।


মাঠের ছবি ভিতরের দিক থেকে উঠানো।


মুল ফটকে প্রবেশ করে ডান পাশে তাকালে দেখা যাবে এই সুন্দর মূর্তিটি।


মূর্তিগুলো ও সুইমিং পুলের পাশে বসার জায়গা। ছবিতে আমরা চার বন্ধুর তিন জন। আর একজন আমাদের ছবি তোলায় ব্যস্ত।


ছোট আকারের সুমিং পুল ও চৌবাচ্চা। যা হুমায়ুন আহমেদের অনেক নাটক ও ছবিতে দেখানো হয়েছে।


পানিশূন্য চৌবাচ্চায় আমি।


পুলে আমরা তিন বন্ধু।


পুলের পাশে আরেকটি বসার জায়গা।


নাটকে অনেকবার দেখেছেন , যা ঢোকার শুরুতে সবার চোখে পড়বে।


বিল্ডিং এর আরেকটা ভিউ।


বিল্ডিং থেকে আরেকটু ভিতরের দিকে।


খেজুর বাগান।


নুহাশপল্লীর মাটি ও ইটের প্রাচীর।


এটাই হুমায়ুন আহমেদের বৃষ্টিবিলাস, টিনের শেড। তিনি এটা তৈরী করেছেন বৃষ্টির শব্দ শোনার জন্য।


বৃষ্টিবিলাস এর নিচে বসার জায়গা। ঐদিন হুমায়ুন আহমেদ স্যার ছিলেন না বলে অনেকক্ষন এখানে চার বন্ধু মিলে আড্ডা দিয়েছি। (এটা প্রথম বার, দ্বিতীয়বার ১ ঘন্টা ঘুরার সুযোগ পেয়েছিলাম।)


এই কুকুরটাকে নাটক , সিনেমায় অনেকবার দেখেছেন।


বৃষ্টিবিলাস বরাবর মাঠের মাঝখানে অবস্থিত।


দাবা খেলার জন্য নির্মিত ঘর।


দাবা বোর্ড।


রূপকথার রাজ্যের বিরাট দৈত্য।


মৎসকন্যা।


হুমায়ুন আহমেদ স্যারের মূর্তির পাশে আমি।


ছোট বিনোদন পার্ক। মাটির তৈরী ডাইনোসর।


মাটির তৈরী জীবজন্তু।


বাচ্চাদের খেলার জায়াগা।


দিঘি লীলাবতী। এই দিঘির পানিতে স্যার জোসনা উপভোগ করতেন।


দিঘিতে কাঠের ব্রীজ এবং দিঘির মাঝখানে বসার জায়গা।


দিঘিতে ঘুরে বেড়ানোর জন্য ময়ুরপঙ্কী নাউ।


অনেক গরমে বৃক্ষছায়ায় আমরা।


সীমানার প্রাচীর ঘেষে তৈরী দোলনা। তার পাশেই ধানক্ষেত।


পুরাতন গেইটের ছবি। ভিতিরের দিক থেকে তোলা ছবি।

অতিরিক্ত সংযোজন

নুহাশপল্লীর পাশেই একটি অনেক বড় বট গাছ আছে। নুহাশপল্লী থেকে হেটে যেতে ২০ মিনিট সময় লাগে। কেউ গেলে দেখে আসবেন। বর্ষাকালে এর চারপাশে পানি দিয়ে ঘেরা থাকে, সেই দৃশ্য নাকি অনেক সুন্দর। (সেখানকার লোকজনের মুখে শুনা, সত্য/ মিথ্যা জানিনা)।


শ্রাবণ মেঘের দিন ছবিতে যে বটবৃক্ষ দেখানো হয় এটি তার ছবি।


বটগাছে চড়া কিন্তু অনেক সহজ। তাই সবাই মিলে উঠলাম।


বটগাছের আরেকটা ছবি।

এই হল আমার নুহাশপল্লী ভ্রমন। স্যারের আজকে স্মৃতিচারণ করার লক্ষ্যে আপনাদের সাথে শেয়ার করলাম । সুযোগ পেলেই ঘুরে আসবেন ঢাকার অদূরে গাজীপুরের নুহাশপল্লীতে। আর আমার প্রথম ছবিব্লগ নিয়ে মতামত জানাতে ভুলবেন না যেন।
সর্বশেষ এডিট : ২০ শে জুলাই, ২০১৪ রাত ১২:০৭
১৯টি মন্তব্য ৫টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ছি , অবৈধ দখলদার॥ আজকের প্রতিটি অন‍্যায়ের বিচার হবে একদিন।

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:১০



ধিক ‼️বর্তমান অবৈধভাবে দখলদার বর্তমান নরাধমদের। মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীন বাংলাদেশে । বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ক্ষমা চাইতে হলো ! রাজাকার তাজুলের অবৈধ আদালতে। এর চাইতে অবমাননা আর কিছুই হোতে পারেনা।... ...বাকিটুকু পড়ুন

আম্লিগকে স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধে আর কোন বাধা নেই

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:২২


মঈন উদ্দিন ফখর উদ্দিনের ওয়ান-ইলেভেনে সরকারের ২০০৮ সালের ডিসেম্বরে ভারতের সহায়তায় পাতানো নির্বাচনে হাসিনা ক্ষমতায় বসে। এরপরই পরিকল্পিত উপায়ে মাত্র দুই মাসের মধ্যে দেশপ্রেমিক সেনা অফিসারদের পর্যায়ক্রমে বিডিআরে পদায়ন... ...বাকিটুকু পড়ুন

আওয়ামী লীগের পাশাপাশি জামায়াতে ইসলামীকেও নিষিদ্ধ করা যেতে পারে ।

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:৪৫


বাংলাদেশে আসলে দুইটা পক্ষের লোকজনই মূলত রাজনীতিটা নিয়ন্ত্রণ করে। একটা হলো স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি এবং অন্যটি হলো স্বাধীনতার বিপক্ষ শক্তি। এর মাঝে আধা পক্ষ-বিপক্ষ শক্তি হিসেবে একটা রাজনৈতিক দল... ...বাকিটুকু পড়ুন

J K and Our liberation war১৯৭১

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:০৯



জ্যাঁ ক্যুয়ে ছিলেন একজন ফরাসি মানবতাবাদী যিনি ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্সের একটি বিমান হাইজ্যাক করেছিলেন। তিনি ৩ ডিসেম্বর, ১৯৭১ তারিখে প্যারিসের অরলি... ...বাকিটুকু পড়ুন

এবার ইউনুসের ২১শে অগাষ্ঠ ২০০৪ এর গ্রেনেড হামলার তদন্ত করা উচিৎ

লিখেছেন এ আর ১৫, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:৪০



এবার ইউনুসের ২১শে অগাষ্ঠ ২০০৪ এর গ্রেনেড হামলার তদন্ত করা উচিৎ


২০০৪ সালের ২১ শে অগাষ্ঠে গ্রেনেড হামলার কারন হিসাবে বলা হয়েছিল , হাসিনা নাকি ভ্যানেটি ব্যাগে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×